বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ‘ঘুষ খাইলে কী হয়, জেল হয়, ফাঁসি তো আর হয় না’। এ মন্তব্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক কর্মকর্তার। এমন দৃষ্টিভঙ্গির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীতে ছেয়ে গেছে পুরো সংস্থাটি। ফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের, ভুগছেন সেবাপ্রার্থীরা। তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই দুর্নীতিবাজদের। তারা দেদার চালিয়ে যাচ্ছেন অপকর্ম।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই চালকের আসনে থাকেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাদের দিকনির্দেশনাতে চলে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিআরটিএর স্টিয়ারিং অনেক বছর ধরেই দুর্নীতিবাজদের হাতে। তাদের কব্জা থেকে বিআরটিএকে মুক্ত করতে শীর্ষ কর্মকর্তারা যারপরনাই চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই এ থেকে মুক্তি মিলছে না রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থাটির। কাগজপত্র জালিয়াতি, নথি গায়েব, চোরাই গাড়ি নিবন্ধন তো বটেই, সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনাও ঘটছে এ সংস্থাটিতে। এমনকি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির জেরে আদালতে হওয়া মামলায় বিচারক যে রায় দিয়েছেন, সেটি পর্যন্ত নকল করার মতো ঘটনাও ধরা পড়েছে এক কর্মকর্তার নথি ঘাঁটতে গিয়ে। এ রকম ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ২০টি বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন। কিছু ঘটনার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর পুনঃতদন্ত চলছে। দুর্নীতির অভিযোগে দুয়েকজন সাময়িক বরখাস্ত হলেও অধিকাংশ দুর্নীতিবাজই আছেন বহাল তবিয়তে।
একেই জনবল সংকট তদুপরি তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা, সেগুলো বিচারাধীন আছেÑ এমন যুক্তির বদৌলতে কর্মরত রয়েছেন অভিযুক্তরা। বিআরটিএর নিজস্ব তদন্তেই ৫৭টি সার্কেল অফিসের মধ্যে অন্তত ১২টি অফিসে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।
পরিস্থিতির এহেন বিপর্যয় থেকে উত্তরণে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৯টি সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বিআরটিএ। লক্ষ্যÑ সেবার মান বাড়ানো এবং সংস্থাটিকে দুর্নীতিমুক্ত করা।বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান আমাদের সময়কে বলেন, অনিয়ম-দুর্র্নীতির অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত করা হয়। বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা ছাড়াও সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়েরও নির্দেশ রয়েছে যেন কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়। কেবল দুর্নীতি নয়, দায়িত্বে গাফিলতির প্রমাণ পেলেও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, সংস্থায় কর্মরত কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করা হয়েছে।
দুদকের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিআরটিএর প্রতিটি সেবা খাতই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ভুয়া নথিপত্রে গাড়ির নিবন্ধন দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে বিআরটিএর ঢাকাস্থ মিরপুর, ইকুরিয়া; বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, ঝালকাঠি, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী, জামালপুর, খাগড়াছড়ি, ফেনী ও কক্সবাজার কার্যালয় থেকে। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিটি কার্যালয়ই দুর্নীতিবাজদের কব্জায় এবং প্রতিনিয়ত প্রতিটি কাজেই সেবার পরিবর্তে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীকে; সেবার জন্য গুনতে হয় বাড়তি অর্থ।
ভুয়া নথিপত্রে নামি ব্র্যান্ডের দামি গাড়ি নিবন্ধন নিয়ে সর্বাধিক আলোচনা হচ্ছে। এসব কাজের আগাগোড়ায় রয়েছে গাড়ি আমদানিকারক, বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল মিলে তৈরি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। চোরাইপথে বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি এবং এর পর এসব গাড়ির বিপরীতে জাল কাগজপত্র দিয়ে বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশনের উদাহরণ রয়েছে ভূরি ভূরি। আর ভারত থেকে চোরাইভাবে নিয়ে আসা মোটরসাইকেলের নিবন্ধন করার ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার এমন হীন কা-ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে তালিকার ওপরের দিকে রয়েছেন এনায়েত হোসেন মন্টু। বিআরটিএর সহকারী পরিচালক তিনি।
বিলাসবহুল দামি গাড়ি চোরাইভাবে বিক্রির পর জাল কাগজপত্র নিবন্ধন দিয়েছেন তিনি। এমন একটি গাড়ির নম্বর সিলেট-ঘ -১১-০৩০১। এ কা-ে তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোটরযান পরিদর্শক কেশব কুমার দাশ, উচ্চমান সহকারী মো. আবদুর রব। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাও তা নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু ‘তদন্ত সন্তোষজনক না হওয়ায়’ পুনঃতদন্তের জন্য আরেক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ রকম প্রতিটি অপকর্মেই তদন্ত, পুণঃতদন্তের মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ হওয়ায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। আর বিলম্বিত বিচার মানেই বিচারবঞ্চনাÑ এ কথা তো সর্বজনসিদ্ধ। যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নজির খুব একটা নেই বিআরটিএতে। একাধিকবার তাগিদপত্র দেওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না পড়ার দৃষ্টান্ত আছে। তদন্ত কর্মকর্তার বদলিও বিলম্বের একটি কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনায়েত হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে জালিয়াতির আরেকটি অভিযোগ রয়েছে মানিকগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে। সেখানে দায়িত্ব পালনের সময় জালিয়াতির মাধ্যমে ১৭টি রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির ভুয়া ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি। এ সময় তার সহযোগী ছিলেন আরেক সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন।
বিলাসবহুল গাড়ির ভুয়া কাগজপত্রে নিবন্ধনের ঘটনা ঘটে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব মুসা বিন শমসেরের নামে গাড়ির নিবন্ধন করার ক্ষেত্রেও। শুল্ক ফাঁকি দেওয়া তার একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি (ভোলা ঘ ১১-০০-৩৫) ২০১৭ সালের ২১ মার্চ ঢাকার ধানম-ি থেকে আটক করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ভুয়া আমদানি দলিলাদি দিয়ে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছিল বিআরটিএর ভোলা কার্যালয় থেকে। গাড়িটি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের (বিল অব এন্ট্রি-১০৪৫৯১১, তারিখ ১৩/১২/২০১১-এ) ১৩০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে নিবন্ধন করা হয়। নিবন্ধন নথিতে গাড়ির রং সাদা উল্লেখ থাকলেও জব্দকৃত গাড়িটি ছিল কালো রঙের। নথিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, বিল অব এন্ট্রিটি ভুয়া। এ ঘটনায় সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আইয়ুব আনসারির সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। তিনি ঢাকা মেট্রো-গ ৩৯-১৬৮৯ নম্বর গাড়ির কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভোলা-ঘ ১১-০০৩৫ নম্বরে রেজিস্ট্রেশন দেন। তার বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগের তদন্তে এ যাবৎ দুজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইয়ুব আনসারীর বিরুদ্ধেই আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, তিনি ১৫৪২টি গাড়ির নথি বিআরটিএর আর্কাইভ বিবেচ্য কম্পিউটার থেকে গায়েব করে দিয়েছেন।
এ অপকর্মের মাধ্যমে তিনি সরকারের ৪ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯০ টাকা আত্মসাৎ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এটি ঘটে ঢাকার ইকুরিয়া অফিসে। এ কা-ে তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক কামরুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক আবুল হাসান।
ইকুরিয়া অফিস থেকে ১,৬৪৪টি গাড়ির নথি গায়েবের ঘটনা ঘটেছে। এতেও জড়িত সহকারী পরিচালক আইয়ুব আনসারী। এ ইকুরিয়া অফিস থেকে বদলির আদেশের পর এর বিরোধিতা করে আদালতে মামলা করেছিলেন সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন মন্টু। তিনিও বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম-দুর্র্নীতি করে আলোচনায় থাকেন। যে রকম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন সহকারী পরিচালক কাজী মাহবুবুর রহমান। তার আলোচিত বক্তব্য ছিল- ‘ঘুষ খাইলে কী হয়, জেল হয়, ফাঁসি তো আর হয় না’।
ড্রাইভিং পরীক্ষার বোর্ডের রেজুলেশন জালিয়াতির মতো দুর্নীতিও হচ্ছে বিআরটিএতে। এমনই একটি কা- ধরা পড়েছে নারায়ণগঞ্জে। এতে ওই কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক গঙ্গাময়ী দত্তের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ সার্কেল অফিস থেকে ২০০২ থেকে ২০০৫ সালে ২১ হাজার ৮০৬টি ড্রাইভিং লাইসেন্সের নথি গায়েব করেছিলেন তৎকালীন সহকারী পরিচালক কাজী মাহবুবুর রহমান। মানিকগঞ্জ সার্কেল অফিসেও ১৮টি গাড়ির ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের কা-ের সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে দুদক মামলা করে। এর পর এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা।
এদিকে এসব অপকর্মে আদালতে হওয়া মামলা-মোকদ্দমায় যে রায় হয়, সেসব রায়ের কপি পর্যন্ত জাল করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বিআরটিএর কর্মকর্তা আবদুল হান্নান খানের বিরুদ্ধে। তদন্তেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়েও তাকে দুদক কর্তৃক গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটে। এ ছাড়া পাবনা সার্কেল অফিসে নথি জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেনের কা-ে সহকারী পরিচালক বিলাস চন্দ্র সরকার জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে বলা হয়েছ
চোরাই মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে একটি চক্র। এ চক্রের অন্যতম একজন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী। বিধি মোতাবেক যত সিসি বৈধ, তার চেয়েও অনেক বেশি সিসির মোটরসাইকেল কম সিসি দেখিয়ে অবৈধ রেজিস্ট্রেশন দেওয়া, নথি গায়েব করা এবং রেজিস্ট্রেশনকৃত ডেটা বিআরটিএর সার্ভার থেকে উধাও করে দেওয়াসহ সব অপকর্মের অভিযোগই রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এই ‘উধাও’ করে দেওয়া কা-ের জেরে ১৮টি নথি তদন্ত কমিটির কাছে তাৎক্ষণিক সরবরাহ করা যায়নি। এ ঘটনায় তার সঙ্গে জড়িত মোটরযান পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আমীর খসরু।
টাকার বিনিময়ে অবৈধ কাজ করা কর্মকর্তাদের মধ্যে সহকারী পরিচালক, মোটরযান পরিদর্শক, উচ্চমান সহকারী, মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টদের সঙ্গে দালালরা জড়িত থাকে। তাদের যোগসাজশেই চলে টাকার বিনিময়ে অবৈধ কর্মকা-। যত বেশি টাকা, তত বড় অপকর্ম সম্ভব এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদৌলতে।
টাকার বিনিময়ে ভারত থেকে আসা অবৈধ মোটরসাইকেল পিরোজপুর-ঝালকাঠি অফিস থেকে নিবন্ধনের প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় সহকারী পরিচালক আবদুল জলিল, উচ্চমান সহকারী শাহআলম ও সহকারী পরিচালক এসএম মাহবুবুর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। আবার রেজিস্ট্রারিং অথরিটি না হওয়া সত্ত্বেও যশোর-ঢ-৪১-০০৪৫ নম্বর ট্যাঙ্কলরির রেজিস্ট্রেশন দিয়েছিলেন সহকারী পরিচালক আবদুল জলিল। কেএম মাহবুব কবির নামের এক সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে নারী কেলেঙ্কারিরও।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৮৯১টি বিলাসী গাড়ির তালিকা দিয়েছে বিআরটিএ, তাদের কাছে তালিকা চাওয়ার পর। দেখা গেছে, বেশিরভাগ গাড়ির নিবন্ধন যথাযথভাবে হয়নি। এর মধ্যে ২৫৭টি গাড়ির নিবন্ধন হয়েছে করদাতার পরিচিতি নম্বর ছাড়া। অথচ এসব গাড়ির প্রতিটির দাম কোটি টাকার বেশি। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ গাড়ির নিবন্ধনের বিপরীতে দেওয়া হয়েছিল জাল কাগজপত্র। এতে কেবল সরকারের রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। এগুলোর মধ্যে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়িই বেশি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যে ব্যক্তি কোটি টাকা দামের গাড়ি ব্যবহার করেন, তার আয়, ব্যাংকের হিসাব, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে শিগগিরই মাঠে নামবে এনবিআর। কেন টিআইএন ছাড়া গাড়ি নিবন্ধন করা হয়েছে এবং সেগুলো কীভাবে হয়েছে, কারা করেছেনÑ এসব বিষয়ের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, সংস্থায় বিদ্যমান ৮২৩টি পদের বিপরীতে ১১৭টি পদ শূন্য রয়েছে। সংস্থাটির নতুন যে অর্গানোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী মোট ৩৪শ জনবলের প্রস্তাব জমা দেওয়া আছে।
জনবল সংকটের কারণে অভিযুক্তদের দায়িত্ব থেকে সরানো যাচ্ছে না বলা হলেও এক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক সময় আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকার পরও। এ ছাড়া তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব থেকে না সরানোর তদবির বা চাপ তো রয়েছেই। তবে অভিযুক্তদের মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখাই সমীচীন বলে মনে করেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply